চাঁদের অভিমান
চাঁদের অভিমান
মোঃ হাসনাত বিন আজিজ
আমরা যারপরনাই খুশি । সৌরজগতে এমন একটি অনুপম সুন্দর একটি উপগ্রহ আছে আমরাতো কেউ জানতামই না ।
তারপর একে একে সবাই চাঁদের খুব প্রশংসা করল ।আর এসব দেখে মনে মনে গাল ফুলিয়ে বসল সূর্য । তারই জন্মদিনে এসে সবাই তার কথা ফেলে চাঁদের প্রশংসায় মেতে উঠল সবাই ।
মন খারাপ হতেই সূর্যের গায়ে গ্রহন লাগল । পৃথিবী ও সমস্থ সৌরজগতের বুকে নেমে আসল অন্ধকার ।
একে একে সবাই বুঝালো সূর্যকে কিন্তু সূর্য কিছুতেই বুঝতে চায় না তার কথা শুধু একটায় "সৌরজগতে সূর্যই রাজা আর সূর্যকে ঘিরেই সবার প্রাণ । আর প্রশংসার বেলায় চাঁদের ?"
এবার চাঁদের পালা । ছোট্ট চাঁদ এসব দেখে একদম ভয়ে তথমত খেয়ে যায় । চাঁদ বলল " সূর্য্যিমামা , আমিতো অনেক দূর থেকে আপনাকে কেবল দেখি আর ভাবি কত মহান আপনি । আপনি নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সবাইকে আলো দিয়ে বেড়ান । আর এই যে আমি , আমার তো নিজের বলতে কিচ্ছু নাই আপনার আলোয় আলোকিত আমি । আর সেই কিনা আপনি আমার উপর রাগ করছেন ?"
এইবার সূর্যের ভুল ভাংল , বারবার ক্ষমা চাইতে লাগল চাঁদের কাছে সবার কাছে , মুখ কালো করে বলতে লাগল আমার "আমার অনেক উত্তাপ সারাদিন আগুনের হালকায় জ্বলতে থাকি । তাই বেশকম হলেই এত রাগ হয় যে নিজেকে সামলাতে পারি না ।
সূর্যের এমন কথায় সবাই আবার হাসিমুখ হয়ে উঠল।অনেক আনন্দের সাথে সবাই কেক কাটল । সবাই হাসিমুখে কেক খেয়ে বাসায় গেল ।
কিন্তু ছোট্ট চাঁদের সূর্যের প্রতি একটুকরো অভিমান জমেই রইল । মনে মনে ভাবতে লাগল । এত্ত বিশাল সূর্য, এত যার সৌরবীর্য, কিন্তু তার মনে কেবল অহংকারে ভর্তি ।একটুকু মায়াও সে করল না আমার মতো ছোট চাঁদের প্রতি ।
আর এই অভিমানেই চাঁদ আর কোনদিনি সূর্যের সামনে গেল না ।
আর এর পর থেকেই সন্ধ্যায় সূর্য ডুবলেই আকাশে সুন্দর একটা মিষ্টি চাঁদের দেখা মিলে আমাদের কাছে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন